বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট হোক বা ওয়ার্ক/স্টুডেন্ট – সব ধরনের ভিসার আবেদন করতে হয় VFS Global, Dhaka এর মাধ্যমে।
পর্তুগাল ভিসা কোথায় আবেদন করবেন?
- VFS Global – Portugal Visa Application Center (Dhaka)
- ঠিকানা: Delta Life Tower, Gulshan Avenue, Dhaka
- ওয়েবসাইট: www vfsglobal com)
পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার ধাপ
- ট্যুরিস্ট (Schengen C Visa) – সর্বোচ্চ ৯০ দিন
- ওয়ার্ক / স্টুডেন্ট / ফ্যামিলি (National D Visa) – ৯০ দিনের বেশি
- অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং
- VFS ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
- অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া আবেদন জমা নেওয়া হয় না।
ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন
পাসপোর্ট, ছবি, আবেদন ফর্ম, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, টিকিট বুকিং, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি। ভিসার ধরন অনুযায়ী অতিরিক্ত ডকুমেন্ট লাগবে (যেমন ওয়ার্ক ভিসার জন্য চাকরির কনট্রাক্ট, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ভর্তি লেটার)।
পর্তুগাল ভিসা খরচ কত?
- ট্যুরিস্ট ভিসা: প্রায় ৮০ ইউরো
- ওয়ার্ক/স্টুডেন্ট ভিসা: প্রায় ৯০–১২০ ইউরো
- সাথে VFS সার্ভিস চার্জ যোগ হবে।
পর্তুগাল রেজাল্ট সংগ্রহ
- অনুমোদন হলে VFS থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে
- স্টুডেন্ট ভিসা
- জব/ওয়ার্ক ভিসা
- রেসিডেন্স পারমিট
- ফ্যামিলি রিইউনিয়ন
পর্তুগাল ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (সাধারণত)
- পাসপোর্ট কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে
- ভিসা আবেদন ফরম (সঠিকভাবে পূরণকৃত)
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- ভিসা ফি জমার রসিদ
- ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স (৩০,০০০ ইউরো কভারেজ সহ)
- হোটেল বুকিং বা আমন্ত্রণপত্র
- রিটার্ন টিকিট বুকিং
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ ৬ মাসের)
- চাকরির প্রমাণপত্র / ব্যবসার কাগজপত্র / স্টুডেন্ট হলে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা আবেদন নিয়ম
এই ভিসা সাধারণত ৯০ দিনের বেশি থাকার জন্য দেওয়া হয়। ভিসা পাওয়ার পর সেখানে গিয়ে আপনি কাজের অনুমতি + বসবাসের অনুমতি নিতে পারবেন।
- চাকরির অফার লেটার
- প্রথমে আপনাকে পর্তুগালের কোনো কোম্পানি থেকে চাকরির অফার লেটার নিতে হবে।
- কোম্পানিকে প্রমাণ করতে হয় যে তারা EU/EEA দেশের কাউকে না পেয়ে আপনাকে নিয়োগ দিচ্ছে।
ওয়ার্ক কনট্রাক্ট (Employment Contract)
নিয়োগদাতা কোম্পানি আপনার নামে কাজের অনুমোদন করবে। এই অনুমোদন হলে, আপনি বাংলাদেশ থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পর্তুগাল D Visa আবেদন
বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে হয় গলবাল ঢাকা অফিসের মাধ্যমে। তারা আবেদন গ্রহণ করে পর্তুগাল দূতাবাসে ফরওয়ার্ড করবে।
পর্তুগাল D Visa প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পাসপোর্ট কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- কপি ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)
- চাকরির অফার লেটার / কনট্রাক্ট
- ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদনের কপি (যদি থাকে)
- কোম্পানির ইনভাইটেশন লেটার
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট** (৬ মাস)
- ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স
- ভিসা ফি জমার রসিদ
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা ফি
আনুমানিক ৯০–১২০ ইউরো সাথে VFS সার্ভিস চার্জ
পর্তুগাল ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং টাইম
সাধারণত ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে। চাকরির অনুমোদন ও ভিসা প্রক্রিয়ার কারণে সময় কিছুটা বেশি হতে পারে।