ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ও টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং Croatia Visa Processing Bangladesh

ক্রোয়েশিয়া এখন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শেনজেন সদস্য দেশ (২০২৩ সাল থেকে)। তাই ক্রোয়েশিয়া ভ্রমণ বা কাজের জন্য ভিসা প্রসেসিং মূলত শেনজেন ভিসার নিয়ম অনুযায়ী হয়। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরলাম।

ক্রোয়েশিয়া ভিসার ধরন

  1. শেনজেন ট্যুরিস্ট ভিসা (Type C) → সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা যায়।
  2. ওয়ার্ক ভিসা / রেসিডেন্স পারমিট (Type D + Work Permit) → দীর্ঘমেয়াদী কাজ বা বসবাসের জন্য।
  3. স্টুডেন্ট ভিসা → পড়াশোনার উদ্দেশ্যে।
  4. বিজনেস ভিসা → মিটিং, কনফারেন্স, বা বিজনেস ভ্রমণ।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য)

  • ভিসা আবেদন ফরম (শেনজেন ভিসা ফরম)
  • বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
  • ২ কপি বায়োমেট্রিক ছবি
  • এয়ার টিকিট বুকিং ও হোটেল রিজার্ভেশন
  • ভ্রমণ বীমা (মিনিমাম কভারেজ €30,000)
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সর্বশেষ ৬ মাসের)
  • চাকরির লেটার / ব্যবসার কাগজপত্র
  • ভিসা ফি জমার রসিদ

ভিসা ফি (ট্যুরিস্ট শেনজেন ভিসা)

প্রাপ্তবয়স্ক: প্রায় ৮০ ইউরো

শিশু (৬-১২ বছর): ৪০ ইউরো

৬ বছরের নিচে: ফ্রি

ক্রোয়েশিয়া ভিসার প্রসেসিং টাইম

সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ কর্মদিবস লাগে (কেসভেদে বেশি সময় লাগতে পারে)।

কোথায় আবেদন করবেন?

বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ার শেনজেন ভিসার আবেদন করা যায় VFS Global বা সংশ্লিষ্ট দূতাবাস/কনস্যুলেটে। যেহেতু ক্রোয়েশিয়ার নিজস্ব দূতাবাস ঢাকায় নেই, তাই সাধারণত ভারতে (নতুন দিল্লি) বা অন্য শেনজেন দেশের মাধ্যমে প্রসেস হয়। ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক ভিসা ও রেসিডেন্স পারমিট প্রসেসিং কিছুটা লম্বা প্রক্রিয়া, কারণ এটি শেনজেন শর্ট-টার্ম ভিসার মতো সহজ নয়। নিচে সহজভাবে ধাপে ধাপে দিলাম

ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং

Type D Visa (National Long Stay Visa) এর সাথে Temporary Residence + Work Permit

ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

(কর্মসংস্থান ভিসা / রেসিডেন্স পারমিটের জন্য) ক্রোয়েশিয়ার এমপ্লয়ারের জব অফার লেটার / কন্ট্রাক্ট ক্রোয়েশিয়া এমপ্লয়মেন্ট অফিস (HZZ) থেকে অনুমোদন

ব্যক্তিগত কাগজপত্র

  •  বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ১ বছর মেয়াদ থাকতে হবে)
  •  ভিসা আবেদন ফরম (লং টার্ম ভিসা)
  •  ২ কপি ছবি (বায়োমেট্রিক সাইজ)
  •  জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র (কপি)
  •  পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  •  স্বাস্থ্য সনদ (মেডিকেল টেস্ট)
  •  ব্যাংক স্টেটমেন্ট / আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
  •  হেলথ ইন্স্যুরেন্স
  •  এয়ার টিকিট বুকিং (যদি চাওয়া হয়)
  •  বাসস্থানের প্রমাণ (এমপ্লয়ার দিলে সেটি চলবে)
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসা খরচ (Fee)
  • ভিসা ফি: প্রায় ১০০ ইউরো – ১২০ ইউরো
  • রেসিডেন্স পারমিট কার্ড: প্রায় ৫০ – ৬০ ইউরো
  • মেডিকেল ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স খরচ: বাংলাদেশে আলাদা দিতে হবে (প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা)।
  •  সব মিলিয়ে মোট খরচ দাঁড়ায় প্রায় ১৮,০০০ – ২৫,০০০ টাকা (বাংলাদেশি টাকায়), টিকেট ও এজেন্সি চার্জ বাদে।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং টাইম

এমপ্লয়ারের অনুমোদন ও কাগজপত্র ভেরিফিকেশন: ৪-৮ সপ্তাহ

ভিসা প্রসেসিং দূতাবাসে: ৪-৬ সপ্তাহ

সব মিলিয়ে সাধারণত ২-৩ মাস সময় লাগে।

কোথায় আবেদন করবেন?

বাংলাদেশে ক্রোয়েশিয়ার দূতাবাস নেই। সাধারণত: নতুন দিল্লি, ভারতস্থ ক্রোয়েশিয়া দূতাবাস এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয় অথবা কিছু ক্ষেত্রে VFS Global (ঢাকা থেকে সংগ্রহ করে দিল্লিতে পাঠানো হয়)

গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

আগে থেকেই ক্রোয়েশিয়ার এমপ্লয়ার থেকে জব কন্ট্রাক্ট পেতে হবে। ক্রোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যদি ওই পদের লোক না থাকে, তখনই বিদেশি কর্মীর অনুমতি দেওয়া হয়। ভিসা হাতে পাওয়ার পর প্রথমে ১ বছরের রেসিডেন্স পারমিট দেওয়া হয়, পরে নবায়ন করতে হয় |

আরও পড়ুন-Malaysia calling apply visa factory মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫

ক্রোয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং প্রশ্নোত্তর

ক্রোয়েশিয়ার ভিসা কি শেনজেন ভিসা?

হ্যাঁ। ২০২৩ সাল থেকে ক্রোয়েশিয়া শেনজেন সদস্য, তাই শেনজেন ভিসা নিয়ে ক্রোয়েশিয়ায় ভ্রমণ করা যায়।

বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়ার ভিসার আবেদন কোথায় করতে হয়?

ঢাকায় ক্রোয়েশিয়ার দূতাবাস নেই। আবেদন করতে হয় VFS Global এর মাধ্যমে, আর ভিসা প্রসেস হয় নতুন দিল্লি (ভারতস্থ) ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে।

ক্রোয়েশিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য কী কী কাগজপত্র লাগে?

  •  বৈধ পাসপোর্ট
  •  ছবি (বায়োমেট্রিক সাইজ)
  •  ভিসা আবেদন ফরম
  •  ব্যাংক স্টেটমেন্ট (৬ মাসের)
  •  চাকরি/ব্যবসার প্রমাণপত্র
  •  হোটেল বুকিং + এয়ার টিকিট বুকিং
  •  ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স (ন্যূনতম €30,000 কভারেজ)

ক্রোয়েশিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ কত?

  •  প্রায় ৮০ ইউরো (প্রাপ্তবয়স্ক)
  •  শিশু (৬-১২ বছর): ৪০ ইউরো
  •  ৬ বছরের নিচে: ফ্রি।

ক্রোয়েশিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসা পেতে কত সময় লাগে?

সাধারণত ১৫-৩০ কর্মদিবস

ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক ভিসার জন্য কী লাগবে?

  • কোম্পানির জব অফার / কন্ট্রাক্ট
  •  এমপ্লয়ারের অনুমোদন (HZZ – Employment Service থেকে)
  •  পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  •  মেডিকেল সনদ
  •  পাসপোর্ট, ছবি, আবেদন ফরম
  •  বাসস্থানের প্রমাণ
  •  হেলথ ইন্স্যুরেন্স

ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক ভিসার খরচ কত?

ভিসা ফি: প্রায় ১০০-১২০ ইউরো

রেসিডেন্স পারমিট কার্ড: ৫০-৬০ ইউরো

সব মিলিয়ে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮,০০০ – ২৫,০০০ টাকা (এজেন্সি চার্জ ছাড়া)।

ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক ভিসা পেতে কত সময় লাগে?

গড়ে ২-৩ মাস (কাগজপত্র যাচাই ও এমপ্লয়ার অনুমোদনসহ)।

ক্রোয়েশিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি?

২০২৫ সালের জন্য প্রধান ডিমান্ড সেক্টরগুলো হলো

  •  ট্যুরিজম ও হোটেল
  •  নির্মাণ
  •  খুচরা বিক্রি (রিটেইল)
  •  ট্রান্সপোর্ট ও লজিস্টিক্স
  •  ফ্যাক্টরি ও প্রোডাকশন
  •  স্বাস্থ্যসেবা (নার্স, ডাক্তার)
  •  আইটি ও প্রযুক্তি

ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক ভিসা কি নবায়ন করা যায়?

হ্যাঁ। সাধারণত প্রথমে ১ বছরের রেসিডেন্স পারমিট দেওয়া হয়, পরে নবায়ন করতে হয়।

Leave a Comment